লন্ডনের প্রিন্ট কৃত ‘আল হায়াত’ সংবাদ পত্রের বরাত দিয়ে কুরআন বিষয়ক বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: মুরসির সমর্থকরা শুক্রবার থেকে ফাতেহ মসজিদে অবস্থান ধর্মঘট করছিলেন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, পুলিশ মসজিদ থেকে বেশ ইখওয়ান কর্মীকে ধরে নিয়ে সেনা সরকারের সমর্থক সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিয়েছে। এসব সন্ত্রাসী ইখওয়ানের কর্মীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোটা ও ধারালো ছুরি নিয়ে হামলা চালায়।
এছাড়া, মসজিদের ভেতরে পুলিশ ব্যাপক মাত্রায় টিয়ারগ্যাস ছুঁড়েছে এবং বৃষ্টির মতো গুলি চালিয়েছে। এতে মসজিদের সুউচ্চ মিনার দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় মসজিদের ভেতরে আটকে পড়া ইখওয়ান কর্মীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। নিচে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় আকাশে হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে।
এদিকে, মিশরের প্রধান রাজনৈতিক দল ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা শুরু করেছে দেশটির সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার। এ কাজে আদালতকে ব্যবহার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মিশরের প্রধানমন্ত্রী হাজেম আল-বেবলাওয়ি এ নিয়ে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশ্লেষণ করে দেখছে। মিশর সরকারের এক মুখপাত্র শনিবার এ খবর দিয়েছেন। মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসি ইখওয়ানুল মুসলিমিনেরই নেতা ছিলেন।
১৯৫৪ সালেও একবার ইখওয়ানকে নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় দলটি বেসরকারি সংস্থা হিসেবে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন নেয়। মিশরের বেসরকারি সংস্থাগুলো দেখাশুনা করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও মিশরের আমেরিকা এবং ডেভিড ক্যাম্পের বিরুদ্ধে প্রচুর স্বাক্ষর প্রদান করা হয়েছে। আল আলম খবর সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিশরের অধিবাসীরা ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির বিরুদ্ধে ২ কোটি ২০ লখা সাক্ষর প্রদা করেছে।
উল্লেখ্য যে, মিশরের বিদ্রোহী সংবাদ সংস্থার সহয়তার সাক্ষরগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।
12737017