বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: এদিকে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কারণেই ইরানের সামরিক শক্তির উত্থান ঘটেছে বলে মনে করেন বাইডেন। প্রসঙ্গত, বিশ্ব ছয় শক্তির সঙ্গে ইরানের করা পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে বেরিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ২০১৫ সালে চুক্তিটিতে সই করেছিল ওবামা প্রশাসন।
গত শুক্রবার ভোরে মার্কিন ড্রোন হামলায় বাগদাদে নিহত হন ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহেন্দিস। এর পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সার্বিক অবস্থা নাজুক হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেনারেলের শেষকৃত্যানুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর পরই ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন সেনাছাউনিতে গতকাল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলায় কত জন প্রাণ হারিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড ন্যায্য বলে দাবি করে আসছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের দাবি, অঞ্চলটিতে অবস্থানকারী মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা ও ছাউনিতে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন সোলাইমানি। তবে নিজেদের দাবির পক্ষে প্রমাণ হাজির করতে পারেনি মার্কিন প্রশাসন।
সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড নিয়ে ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন মুখপাত্র টিম মুর্ততাওফ বলেন, আমেরিকানরা তাদের প্রেসিডেন্টকে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী দেখতে চায়। তারা চায় প্রেসিডেন্ট তাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে কাজ করুন। সুতরাং সেই দিক বিবেচনায় ট্রাম্প মার্কিন জনগণের আকাঙ্ক্ষাই পূরণ করেছেন।
এদিকে মঙ্গলবারের রয়টার্সের সমীক্ষা অনুযায়ী, ৫৩ শতাংশ মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক ট্রাম্প ইরান বিষয়টি সামলাতে পারছে না বলে মনে করেন, যা একই বিষয়ে গত মাসে পরিচালিত জরিপের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি।
সূত্র: bonikbarta