
নতুন ফার্সি বছর উপলক্ষে ইরানের তিন বিভাগের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা গতকাল (মঙ্গলবার) সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ওমান আলোচনা সম্পর্কে আমরা খুব বেশি আশাবাদী বা খুব বেশি হতাশাবাদী নই। সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ওমান আলোচনা হচ্ছে এবং প্রথম পদক্ষেপগুলো ভালো ভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। অবশ্যই আমরা অন্য পক্ষের বিষয়ে খুবই সন্দিহান, তবে আমরা আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা সম্পর্কে আশাবাদী। আলোচনার প্রথম পদক্ষেপগুলোতে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। পরবর্তীতেও সতর্কতার সাথে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। অন্য পক্ষ এবং আমাদের-উভয়ের জন্য রেড লাইনগুলো স্পষ্ট।
আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নস্যাতের অন্যতম সেরা উপায় হলো দেশীয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধাগুলো দূর করা। ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নস্যাৎ করা সম্ভব। যদি আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা কার্যকর ভাবে ব্যবহার করি, তাহলে আমরা দেশকে নিষেধাজ্ঞার মোকাবেলায় ঝুঁকিমুক্ত করে তুলতে পারব। ঐ অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলেও দেশ সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। ইরানের প্রতিবেশী দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে হবে। এশিয়ার অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলো যেমন চীন, রাশিয়া এবং ভারতের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সহজতর করতে হবে।
দখলদার ইসরাইল প্রসঙ্গে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ফিলিস্তিনে আধিপত্য বিস্তারকারী ইহুদিবাদী অপরাধী চক্র সত্যিই অপরাধের সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে বিশেষ করে নিরীহ মানুষ, শিশু, রোগী, সাংবাদিক, হাসপাতাল এবং অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর এ ধরণের ঘটনা আর কোথাও কখনো ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। মুসলিম বিশ্বকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে: রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রয়োজনে (দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে) সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আরও বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাবের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ইহুদিবাদীরা যে জুলুম করছে সেটার জন্য নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেবেন। যদিও তা জনগণের দায়িত্ব, আমাদের দায়িত্ব এবং সরকারগুলোর দায়িত্বকে কোনো ভাবেই কমিয়ে দেয় না।