
আইকনা-র প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননের উত্তরাঞ্চলের আল-আইরুনিয়া শহরে একটি গাড়িকে ড্রোন হামলায় লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে, যা দেশটির সার্বভৌমত্ব এবং যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই হামলায় দুই জন শহীদ এবং আরও তিন জন আহত হন। একইসঙ্গে ইসরায়েলি ড্রোন এখনও ত্রিপোলি শহর এবং হামলার স্থানটির ওপর দিয়ে উড়ছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, এই হামলায় তারা হামাস আন্দোলনের একজন সদস্যকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
একদিন আগেও, ইসরায়েলের একটি ড্রোন দক্ষিণ লেবাননের বেইত লিফ শহরে একটি মোটরসাইকেলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার ফলে একজন নিহত হন।
এছাড়া ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান বালবেক জেলার পশ্চিমে বুদাই শহরের জারুদ এলাকা বোমাবর্ষণ করেছে।
কাতার: মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধ শেষ করার ওপর কেন্দ্রীভূত
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানান, কাতারে বর্তমানে দুই পক্ষের দুটি প্রতিনিধিদল রয়েছে এবং প্রত্যেকটির সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা চলছে। এখনো বিস্তারিত আলোচনা শুরু হয়নি, কেবল একটি সাধারণ কাঠামো নিয়ে কথা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আলোচনার পথ মসৃণ করার চেষ্টা চলছে, তবে এখনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা যায়নি। আলোচনা চলবে যতক্ষণ না পর্যন্ত ইতিবাচক ফলাফল আসে।
তিনি আরও বলেন, মধ্যস্থতার উদ্দেশ্য হলো এমন একটি শক্তিশালী গ্যারান্টি অর্জন করা, যাতে যুদ্ধ পুনরায় শুরু না হয়। দুই পক্ষই আপাতত ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে।
ব্রিটেন: ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি মঙ্গলবার বলেন, আমরা গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চাই, ৬০ দিনের নয়। যদি গাজার অবস্থা সহনীয় না হয়, তাহলে ব্রিটেন আরও পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য, এতে মানুষ মারা যাচ্ছে। এ সমস্যার সমাধানে জাতিসংঘ এবং তার সংস্থাগুলোর ভূমিকা থাকতে হবে।
ল্যামি স্বীকার করেন, ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে।
ফিলিপ লাজারিনি, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য সংস্থা (UNRWA)-এর প্রধান, আগেই বলেছিলেন, ইসরায়েলি বাহিনী এবং বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে প্রতিদিন বহু মানুষ হতাহত হচ্ছে। এই অপমানজনক ব্যবস্থায় হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষ কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে যেতে বাধ্য হচ্ছে, আর দুর্বল ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ একেবারেই বঞ্চিত।
তিনি বলেছিলেন, এই ব্যবস্থা সাহায্য নয়, বরং একটি অমানবিক নিয়ন্ত্রণ। নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে সাহায্য বিতরণের একমাত্র উপায় হলো, তা জাতিসংঘ এবং UNRWA-এর অধীনে পরিচালিত করা।
হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলায় ইসরায়েলের পরিকল্পনা
ইসরায়েলি পত্রিকা হারেটজ জানায়, ইয়েমেনের হুথি আন্দোলন এবং সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরায়েল এখন বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক পরিকল্পনা নিয়ে ভাবছে।
পত্রিকাটি জানায়, ইসরায়েল হয়তো হামাসের সঙ্গে একটি প্রকাশ্য বা গোপন সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করতে পারে যাতে ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ হয়।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা হুথি বাহিনীকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না এবং বিশ্বাস করেন, তারা উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র অর্জন করেছে। প্রতিটি হামলায় নতুন অভিজ্ঞতা নেওয়া হচ্ছে এবং পরবর্তী হামলাকে আরও নিখুঁত করার চেষ্টাও চলছে।
হারেটজ আরও জানায়, ইসরায়েল মনে করে, গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি হলে ইয়েমেন থেকে হামলাও থেমে যেতে পারে। তবে, তারা আশঙ্কা করছে, পশ্চিম তীর বা আল-আকসা মসজিদে নতুন উত্তেজনা দেখা দিলে এই হামলা আবার শুরু হতে পারে।