আল জাজিরার বরাতে ইকনা জানায়, প্রায় ৩০০ জন বসতকারী সোমবার সকালেই দখলদার বাহিনীর কড়া পাহারায় বাব আল-মাগারিবা গেট দিয়ে আল-আকসায় প্রবেশ করে। এই আগ্রাসন কথিত ইহুদীদের নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে চালানো হয়।
জেরুজালেমের ইসলামিক ওয়াক্ফ প্রশাসন জানিয়েছে, বসতকারীরা মসজিদের আঙ্গিনায় উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালায় এবং কথিত মন্দির সম্পর্কিত তলমুদী আচার-অনুষ্ঠান পূর্ব আঙ্গিনায় সম্পাদন করে। এসবের মধ্যে গান গাওয়া, হাততালি দেওয়া, নামাজে বিঘ্ন সৃষ্টি ও শিঙ্গা বাজানো অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ ঘটনা ঘটে যখন দখলদার সেনারা আল-আকসা ও পুরোনো শহরের প্রবেশদ্বারগুলোতে কঠোর সামরিক ব্যবস্থা জোরদার করে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, বসতকারীরা এই আগ্রাসনের সময় দলগত স্লোগান ও আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এক প্রকার উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করে। অন্যদিকে দখলদার সেনারা ফিলিস্তিনিদের মসজিদে প্রবেশ সীমিত করে এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে কড়াকড়ি বাড়িয়ে আরও বেশি মুসল্লির প্রবেশ ঠেকাতে তল্লাশি জোরদার করে।
এই হামলা ঘটেছে উগ্রপন্থী বসতকারী সংগঠন পদেনু–এর ডাকে সাড়া দিয়ে। সংগঠনটি তাদের সমর্থকদের ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আল-আকসা মসজিদে ব্যাপক হামলা চালাতে আহ্বান জানিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য হলো হামলাকারীদের নতুন রেকর্ড গড়া এবং মসজিদের আঙ্গিনায় আরও বেশি তলমুদী আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদন করা।
প্রতিদিনই আল-আকসা মসজিদ, শুক্রবার ও শনিবার ছাড়া, দখলদার পুলিশের পাহারায় বারবার বসতকারীদের আগ্রাসনের শিকার হয়। এটি হচ্ছে ইসলামের এই পবিত্র স্থানটির ওপর সময় ও স্থানভিত্তিক বিভাজন চাপিয়ে দিয়ে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ। 4306465#