
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-মায়াদিনের বরাতে ইকনা জানায়, ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর ডেড সি (বাহরুল-মাইয়েত) অঞ্চল ও তার পশ্চিমাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন বাজতে শুরু করে।
এর জবাবে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত হুদাইদা বন্দরে বোমা হামলা চালায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা হুদাইদার বিদ্যুৎকেন্দ্র খালি করার নির্দেশ দিয়েছে এবং সেখানে “সামরিক তৎপরতা”র অজুহাতে এই হামলা চালানো হবে।
এদিকে, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের রাজনৈতিক দপ্তরের সদস্য হিজাম আল-আসাদ ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “এই আগ্রাসন কেবল ইয়েমেনি জনগণের গাজাবাসীর প্রতি সমর্থনে দৃঢ়তা ও সংকল্প আরও বৃদ্ধি করবে।”
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় ইয়েমেনের ওপর মোট ৫৬টি বোমা ফেলা হয়েছে।
ইয়েমেনি সামরিক সূত্রগুলো বলেছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলোর প্রথম দফার আক্রমণ প্রতিহত করতে ইয়েমেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী সফল হয়েছে এবং তারা উল্লেখযোগ্যভাবে এই আগ্রাসন ব্যর্থ করে দিয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি এক বিবৃতিতে জানান: “আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি বিপুলসংখ্যক ভূমি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের আগ্রাসনের মোকাবিলা করেছে, যা শত্রু পাইলটদের মধ্যে ও তাদের অপারেশন রুমে মারাত্মক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।”
তিনি আরও বলেন:“আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সর্বশক্তি দিয়ে আল্লাহর ইচ্ছায় দেশের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
আমরা আমাদের জনগণ ও দেশপ্রেমিকদের আশ্বস্ত করছি যে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং আগ্রাসনকারীদের মোকাবিলায় সক্ষম।
এই হামলা আমাদের সামরিক শক্তিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
গাজা ও ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনমূলক অভিযান অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চলবে এবং আমরা আমাদের দেশ ও জাতিকে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করব।” 4292979#