বার্তা সংস্থা ইকনা: বিশিষ্ট আর্মেনীয় লেখক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ফটোগ্রাফার হাইক কুচারিয়ান বলেছেন, পশ্চিমা যুব সমাজের প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার দ্বিতীয় ঐতিহাসিক চিঠি ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধগুলো তুলে ধরেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার এই চিঠিতে সন্ত্রাসবাদের প্রকৃত হোতাদের পরিচয় এবং এই সংকট সমাধানের উপায় দেখিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
ইরানের সংসদ স্পিকার ডক্টর আলী লারিজানির মতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার এই চিঠি পাশ্চাত্য ও মুসলিম জাহানের মধ্যে সংলাপের নতুন ভিত্তি তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করেছেন।
সম্প্রতি ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী পশ্চিমা যুবসমাজের প্রতি তাঁর দ্বিতীয় চিঠিটি লেখেন। যুবসমাজকে সম্বোধন করে তিনি লিখেছেন, ফ্রান্সে তিক্ত সন্ত্রাসী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তোমাদের সঙ্গে আবারও কথা বলার প্রয়োজন অনুভব করছি। আমার জন্য এটা খুবই দুঃখজনক যে, এ ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলতে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এ ধরনের সমস্যা যদি উপায়-অনুসন্ধান ও আলাপ-আলোচনার সুযোগ তৈরি না করে, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।
চিঠিতে তিনি আরও লিখেন, “ বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের যেকোনো মানুষের দুঃখ-কষ্টই অপর মানুষের জন্য কষ্টকর। স্বজনদের চোখের সামনে শিশুর মৃত্যু, মায়ের পারিবারিক আনন্দ শোকে পরিণত হওয়া এবং স্ত্রীর নিথর মৃতদেহ নিয়ে স্বামীর ছুটে চলার মতো দৃশ্যগুলো মানুষকে আবেগাপ্লুত না করে পারে না। যাদের মধ্যেই মমত্ব ও মানবতাবোধ রয়েছে, তারাই এ ধরনের দৃশ্য দেখে ব্যথিত ও দুঃখিত হবে। এ ধরনের ঘটনা তা ফ্রান্সেই ঘটুক আর ফিলিস্তিন, ইরাক, লেবানন বা সিরিয়াতেই ঘটুক, মানুষ ব্যথিত ও দুঃখিত হবেই। সূত্র: রেডিও তেহরান”