
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, আজ (মঙ্গলবার) কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দোহায় হামাস সদস্যদের আবাসিক স্থাপনায় ইহুদিবাদী হামলার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, এই কাপুরুষোচিত পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক সব আইন ও মানদণ্ডের প্রকাশ্য লঙ্ঘন এবং কাতারি নাগরিক ও অধিবাসীদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার জন্য এক বিপজ্জনক হুমকি।”
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তেলআবিবের 'দুঃসাহসী ও বেপরোয়া আচরণ'-এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, কাতার সরকার দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিমূলক কোনো পদক্ষেপের ব্যাপারে কোনো ধরনের সহনশীলতা দেখাবে না।”
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এই হামলার গভীরতা নিয়ে 'সর্বোচ্চ পর্যায়ে' তদন্ত চলছে।
একজন হামাস কর্মকর্তা কাতারের স্যাটেলাইট চ্যানেল আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেছেন, দোহায় বৈঠক চলাকালে হামাসের আলোচনাকারী দলকে টার্গেট করা হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে পরিচালিত এই হত্যা অভিযানে ১২টি তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে।
প্রাথমিক খবরে বলা হয়েছে, হামাসের শীর্ষ নেতা খালিল আল-হাইয়া শহীদ হয়েছেন। পরে আল জাজিরা নিশ্চিত করেছে যে, তিনি বেঁচে আছেন।
এদিকে, রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিক ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে, দোহায় হামলার লক্ষ্য ছিলেন হামাসের অন্তত ৭ জন শীর্ষ নেতা: খালিল আল-হাইয়া, খালেদ মাশআল, মুসা আবু মারজুক, জাহের জাবারিন, মোহাম্মদ দরবেশ, হুসাম বদরান ও তাহের আল-নুনো। তবে হামাস এখনও এ খবর নিশ্চিত করেনি।
ইসরায়েলি সেনা রেডিও জানিয়েছে যে, দোহায় এই হত্যাযজ্ঞ পরিচালনার জন্য আমেরিকা ইসরায়েলকে সবুজ সংকেত দিয়েছে।# পার্সটুডে