বার্তা সংস্থা ইকনা: এ ছাড়াও পরিবার চেয়েছিল বিশ্বস্ত একজন চিকিৎসককে যেন আটক ধর্মীয় নেতার সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হয় কিন্তু তাও দেয়া হয় নি। আটক আল্লামা ইব্রাহিম জাকজাকির সঙ্গে কথা বলেছেন এমন কোনো নাইজেরিয় কর্মকর্তার সঙ্গে পরিবার যোগাযোগ করতে পারে নি বলে জানান তার ছেলে।
গত ১২ ডিসেম্বর নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর হামলায় উত্তরাঞ্চলীয় কাদুনা প্রদেশের জারিয়া শহরে বেশি কয়েকজন শিয়া মুসলমান মারা গেছেন। তবে কোনো কোনো সূত্রে এ সংখ্যা কয়েকশ’ বলে উল্লেখ করেছে। সামরিক বাহিনী অভিযোগ করেছে, এসব শিয়া মুসলমান দেশটির সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল টুকুর বুরাতাইকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছিল। হতাহত মুসলমানরা স্থানীয় একটি হোসাইনিয়াতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছিল।
এ ঘটনার একদিন পর নাইজেরিয়ার শিয়া ধর্মীয় নেতা ইব্রাহিম আজ-জাকজাকি এবং তার স্ত্রীকে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনী আটক করে। স্থানীয় অধিবাসীরা জানিয়েছেন, সে সময়ে ধর্মীয় নেতাকে বাঁচাতে আসা শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। ব্রিটেনভিত্তিক ইসলামি মানবাধিকার কমিশন বুধবার জানিয়েছে, এ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই শতাধিক ব্যক্তিকে গোপনে গণকবর দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর অভিযানে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তবে ইসলামী মানবাধিকার কমিশন বা আইএইচআরসি নিহতের সংখ্যা ১০০০ হবে বলে দাবি করেছে।
এছাড়াও সেদেশের সামরিক বাহিনীরা জারিয়া শহরের ‘বাকিয়াতুল্লাহ’ নামক হোসাইনিয় হামলা চলিয়ে হোসাইনিয়া ধ্বংস করেছে।
এদিকে আল্লামা জাকজাকির মেয়ে প্রেস টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তার বাবার নিহত হওয়ার খবর অস্বীকার করে বলেন, সামরিক বাহিনীর হামলায় তার বাবা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং তাকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
3465460