
ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ও মুসলিমীন গুলামহুসাইন মহসেনি এজেয়ি তার আবেদনে উল্লেখ করেন, সাধারণ ও বিপ্লবী আদালত, সশস্ত্র বাহিনীর বিচার সংস্থা এবং বাণিজ্যিক শৃঙ্খলা আদালতে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে যাদের রায় ১৯ شهریور (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়েছে, তাদের জন্য এই বিশেষ ক্ষমার আবেদন জানানো হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত অপরাধে দণ্ডিতদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫ বছর আগে রায় চূড়ান্ত হতে হবে এবং এরপর থেকে তারা যেন রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড, জাতীয় সংহতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ বা বিরোধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত না হন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, কঠিন বা অনারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত বন্দিদের অবশিষ্ট দণ্ডও এ ক্ষমার আওতায় আসবে, শর্ত হলো তাদের অসুস্থতা যেন সরকারি ফরেনসিক মেডিকেল কমিশন কর্তৃক নিশ্চিত হয়।
এছাড়া, অর্থদণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রেও আংশিকভাবে এ ক্ষমা ও শাস্তি লঘু করার ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে, যার বিস্তারিত বিচার বিভাগের প্রধানের চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।
“সশস্ত্র ডাকাতি বা সহিংস চুরি এবং পূর্বে দণ্ডপ্রাপ্ত চোরগণ”, “মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য সম্পর্কিত সশস্ত্র অপরাধ”, “যুদ্ধাস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা-বেচা ও চোরাচালান”, “অভ্যন্তরীণ ও বহিঃনিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপরাধ”, “গুপ্তচরবৃত্তি, শত্রু রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে সদস্যপদ”, “অপহরণ, এসিড নিক্ষেপ, জাল নোট তৈরি এবং ভুয়া মুদ্রা প্রচলন”, “অর্থনীতিতে বড় ধরনের বা ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অংশগ্রহণ”, এবং “মদ চোরাচালান”—এসব অপরাধ এই ক্ষমা ও শাস্তি লঘু করার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। 4304267#